সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলায় এক রেমিটেন্স যোদ্ধা দেশে ফিরে যখন আত্মমানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছে ঠিক সেই মুহুর্তে একটি কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে।
অসহায় নির্যাতিত নিপীড়িত নিষ্পেষিত মানুষের অধিকার আদায়ে আইনী সহায়তা করে যখন যুগান্তকারী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে তখন অপরাধী আর সমাজের হীন ব্যক্তিত্বের মানুষেরা তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছে। আমি বলছি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার আলাদিপুর গ্রামের ইউসুফ আলী শেখের ৩ পুত্র রেমিটেন্স যোদ্ধাদের কথা। যার মধ্যে রবিউল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, রিয়াজুল ইসলাম। ৩ ভাই প্রবাসে দীর্ঘ ২ যুগেরও বেশি থেকে দেশে কোটি কোটি টাকা রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। এদের মধ্যে রবিউল ইসলাম ২০০৬ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রবাসে কাটিয়ে এখন সাতক্ষীরার তালার জাতপুর বাজারের একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে যখন ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে তখন গ্রামভিত্তিক বাজারকেন্দ্রীক ভিলেজ পলিটিক্স তাকে আঁকড়ে ধরেছে। মানুষটি অসহায় দরিদ্র নিপীড়িত ভাগ্যবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তার কাল। সম্প্রতি জাতপুর তথা দক্ষিণ খুলনায় একাধিক মানুষের অধিকার আদায়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় সমাজে কথিত সমাজপতিরা বেঁকে বসেছে। তার বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অপপ্রচার এমনকি মিথ্যা মামলা দায়ের করে ঘায়েলের চেষ্টা করছে। ভিলেজ পলিটিক্যাল মুখোশধারী সমাজপতিদের ভয়ে অনেকেই কথা বলতে চায় না। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক উপকারভোগীরা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, রবিউল ইসলাম নিঃসন্দেহে মানবতার সেবায় নিজেকে সপে দিয়েছে। সর্বপ্রকার চক্রান্তের জাল ভেদ করে ঠিকই সে সাধারণ মানুষের সেবায় থাকবেন। সাথে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে একাধিক আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রেমিটেন্স যোদ্ধা পরিবারের বড় সন্তান শেখ মোঃ কামরুল ইসলাম খুলনার আঠারো মাইল বাজারে নাজ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি কর্মসংস্থানমূলক ব্যবসা খুলে সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। অন্যদিকে রবিউল ইসলাম তালার জাতপুর বাজারে মেসার্স রঞ্জু এন্টারপ্রাইজ নামে আরো একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধা পরিবারের সার্বিক মঙ্গল কামনা করেছেন।