গ্রিসের রাজধানীএ এথেন্সে জুমার নামাজের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে প্রথম মসজিদ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে স্বল্পসংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতেএ মসজিদের কার্যক্রম শুরু করা হয় ।
মসজিদটির নাম দেওয়া হয়েছে ভোতানিকোস মসজিদ গ্রিস সরকারের অর্থায়নে প্রায় ৯ লাখ ইউরো ব্যয়ে রাজধানী এথেন্সের প্রাণকেন্দ্র সিনতাগমা স্কয়ার থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে নৌবাহিনীর একটি পরিত্যক্ত ঘাঁটিছিল পূবে সেই জাগায় মসজিূটি নির্মাণ করা হয়েছে ।
মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ৩৫০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন । তবে মিণার বা গুন্বুজ রাখা হয়নি বিভিন্ন কাঠামোতে মসজিদটি তৈরি করার হয় । গুন্বুজ বা মিনার না থাকায় দেশটিতে বসবাসকারী মসুলমানরা অসন্তোষ খোব প্রকাশ করতে দেখাযায় তুর্কি ও আলবেনিয়া বংশোদ্ভূত ছাড়া ও জন্মগতভাবে বেশ কিছু স্থানীয় মুসলিম রয়েছে গ্রিসে । থ্রেস হচ্ছে দেশটির সর্ববৃহৎ মুসলিম সংখ্যাগোষ্ঠীর অঞ্চল সেখানে শরীয়াহ আইন চালু আছে ।
তুর্রস্কের অটোমান সাম্রাজ্যের থেকে স্বাধীনতা লাভ করার পর দীর্ঘ সয়ম অতি ডানপস্থী ও রক্ষণশীল রাজনৈতিক জোটগুলোর তীব্র বিরোধিতা ও বিভিন্ন ধরনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, অর্থোডক্স চার্চগুলোর বাধা এবং আর্থিক সংকটের মাঝে দীর্ঘকাল গ্রিসে মসজিদ নির্মাণের আলোর মুখ দেখেনি ইউরোপীয়ন ইউনিয়নের দেশগুলোর মাঝে এতোদিন পর্যাপ্ত এথেন্স ছিল একমাত্র রাজধানী শহর যেখানে সরকারিভাবে কনো মসজিদ ছিলনা ।
গ্রিসের সঙ্গে তুরস্কের রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে দেশটির অনেক সাধারণ মানুষও মসজিদ নির্মাণের বিষয়ে প্রতিবাদ মুখর ছিল । তাদের অনেকের মতে গ্রিসে নতুন করে কোন মসজিদ নির্মাণ করার অর্থ পুনরায় দেশটিতে অটোমানা সাম্রাজ্যের ইতিহাসের পূর্ণজাগরণ ঘটানো । তাই ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোর মাঝে এতোদিন পর্যন্ত এথেন্স ছিল একমাত্র রাজধানী শহর যেখানে সরকারিভাবে কোন মসজিদ ছিল না