কি হবে আর বেঁচে থেকে
আমি নির্মাণ করতে চাই এক ফাঁসির মঞ্চ -
তোমায় কষ্ট করে জ্বালাতে হবে না চিতার আগুন-
আমি জ্বলে পুড়ে হবো ছারখার ।
যে অগ্নিকুন্ড সাজিয়েছো তুমি নিজের অজান্তেই ,
ইতিহাসে থাকবে অম্লান
যখন আমার সমাধি হয়ে যাবে মলিন
রঞ্জিত হবে যখন অামারি রক্তে এ মাটি
হয়তো ভুল ছিল আমার তুমি -ই খাঁটি!
নির্ভীক কণ্ঠে শুধাতে চাইবোনা
করবোনা ভালোবাসার অপমান :
একদিন বুঝিয়ে দেবে তোমাকে আকাশ, বাতাস,
পাহাড় -পর্বত আর ঝর্ণাধারা '
তোমার কারণে
আজ ফাঁসির অনুষ্ঠানে আমি আত্মাহারা।
এখানেই শেষ নয়!
রচনা করেছিলে কালো গোলাপের কাঁটা গুলো
উৎফুল্ল হয়েছিলে জ্বলন্ত অগ্নিশিখায়
সে-দিন বিশ্বাস করেছি, আজও করবো
তোমার দেয়া বিষের যন্ত্রণা বইতে আজ আর
এতটুকুও অভিযোগ নেই. …
অস্বীকার করবোনা মধু মাখা হাসি
যার কারণে গলেতে নিজের অজান্তেই -
ঝুলিয়ে দিলাম ফাঁসির রশি
উপরে ফেলা যায় না কভু মনুষ্যত্ব দেবত্বেরই রূপান্তর
ঘটেছে যেখানে মৃত্যুর সজ্জা
যদিও কেউ কাউকে কিছু না বলার প্রতিজ্ঞা করেছি মনে মনে।
তোমার উন্মুক্ত বিষের বাঁশিতে
সুরের মূর্ছনায় পুরোনো স্মৃতি গুলো দেখিয়ে নিয়ে যায়
দুঃসহ যন্ত্রনা, লিখে তুমি দিয়েছো যা হৃদয়...
মাঝে মাঝে একটু শুনেছিলাম পথসভার জয়গান
আমার প্রাণ ত্রাহি ত্রাহি -প্রিয় ভালো থেকো তুমি।
নতুন অঙ্কুরিত কোনো....
চারা-ই নয় আমার প্রাণের উচ্ছ্বাস,
গৌধূলির আলো-আঁধারের প্রান্তসীমায় খেলা
আর সূর্যোদয়ে আমি নিঃসন্দেহে
মিশে থাকবো পৃথিবীতে হয়ে নিঃশ্বপ্রাণ
নেই কোনো সন্দেহ করবোনা প্রতিবাদ।
নীরবে চোখের আড়াল থেকে সইবো
ভাঙা তরী নিয়ে ছেঁড়া পাল তুলে
ঢেউয়ের তালে তালে আমি তো......
মরণ খেলায় মেতেছি
আনন্দের অনুভূতির ছোঁয়া পেতে!
একটুতেই তুমি কেঁপে উঠতে ভয়ে,
তা-ই তো-ইচ্ছে ঘুড়ি উড়িয়ে দিলাম তোমার মনের কোণে
আমি ভুলে গিয়েছি তুচ্ছ জীবনের কথা,
তুলে নিয়েছি ফাঁসির দড়ি মঞ্চে রয়েছি দাঁড়িয়ে
কি হবে আর বেঁচে থেকে অবাঞ্ছিত জীবন নিয়ে
ভালো থেকো প্রিয় বিদায় নিলাম চিরতরে ।