স্বাধীনতা স্বাধীনতা করে তুমি গলাবাজি করো,
মঞ্চ কাঁপাও প্রতিদিন,
কোথায় স্বাধীনতা একটু নাহয় স্মরো!
কার স্বাধীনতা, কিসের স্বাধীকার?
বন্ধ করো, বন্ধ করো এই অযাচিত চিৎকার।
স্বাধীনতা,- সে তো আজ গৃহবন্দী
নন্দিত নরকের পর্দা ঘেরা আবদ্ধ কুঠুরিতে,
আত্ম দহনে জ্বলে মরে নিশিদিন নির্বাক চোখে নিষ্পেষিত জনতা ;
বোঝে না ছদ্মবেশীর অজ্ঞাত দুরভিসন্ধি।
তুমি রূপালী পর্দার গল্প শোনাও ভিডিও ক্লিপে!
জ্ঞানান্ধ অনুভূতিহীন নীতিবিবর্জিত আমি
কেবলি হাততালি দেয়া তৈলবাজ নিরব দর্শক,-
"ভুসি পেলেই খুশি হবো, ঘুসি খেলে বাঁচব না!"
জন্মান্ধও আজ বুঝে গেছে,-
গাধার সম্মুখে মূলো ঝোলানোর অপকৌশল।
"মরণে ডরে না বীর"- এ বাণী আজ নিতান্তই হাস্যকর।
নন্দিত বিদ্যাপিঠ,- সে আজ অপবিদ্যার ভাগাড় যেন!
এখানে নেই মনুষ্য গড়ার যোগ্য কারিগর,
আছে কেবল ধান্ধাবাজি অসৎ দৌঁড় প্রতিযোগীতার।
চোখ ধাঁধানো মন মাতানো বিজ্ঞাপনে সয়লাব চারিদিক, কতইনা রঙের বাহার ,
ভেতরে সকলই নকল আর ভেজালের ছড়াছড়ি;
কে-বা মুখ খোলে, কে প্রতিবাদ করে তার!
তুমি ধর্ম ছেড়ে অধর্মের পথে হাঁটো
আর নাস্তিকের তলাহীন নীতিকথা ঘাটো !
সুদৃশ্য ফুলে ঘটা করে ঘটাও কুৎসিত পরাগায়ন,
জারজের রক্ত ধারায় ডুবে হও আত্ম সম্মোহন!
মিথ্যাকে মিথ্যা বলো আর সত্যকে বলো সত্য,
পঙ্কে জন্মানো পঙ্কজ শোভায় কখনো হ'য়ো না মত্ত।
জাগো হে বীর জনতা, জাগো পূণর্বার,
আত্মভোলা হয়ে জেগে জেগে ঘুমাইওনা আর।
নব হুংকারে জাগো ভাঙো নীরবতা সুনসান,
ভেঙে দাও যত অনিয়ম,
অন্যায় অত্যাচারের যত খড়গ কৃপাণ।
--------------