ফিরে তো এলে অবশেষে, তেপান্তরের অলিগলি ঘুরে সেই তুমি!
কি এমন পেলে কোন সুখে হারালে নবান্নের দেশে?
সেই তো ফিরে এলে অবশেষে!
ভেবেছো পরাজিত আমি! না একদমই না;
তীর্থের মতো কিছু সময় কেটেছে, ঠাকুরমার ঝুলির সেই গল্পের মতো। একটি একটি করে কুড়িয়েছিলাম ভালোবাসার ফুল;
দু'চোখের জলে গড়াগড়ি করে ছুড়ে ফেলে দিলে
কি লাভ হবে! চৈত্র মাসে একটানা খরা, কিংবা মরার উপরে খাড়া।
বাঘটাকে বাগে আনতে ভুল পথে পা বাড়ানো শুঁকনো কাদায় জলের ছড়াছড়ি।
দেখতে দেখতে মুছে গেছে বাঁধ ভাঙা অসম চুক্তিতে স্বাক্ষরের শুভ্র পাতাটি;
নিজের অজান্তেই বাইরে থেকে শুরু করলে অন্তরালের ব্যক্তিসত্ত্বাটি।
তার পরেও যেটুকু সম্ভব!
হোক না গৌরব পুনরুদ্ধার প্রবল স্রোতের অনুকূলে বরাদ্দ যুক্তি।
সুখের ছায়ায় এমনও হয় হতাশ আগুন জ্বালিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দেয় সত্যি কি সর্ব সুখি কেউ হয়?
কে বলে আমি নই সুখী!
মাহাত্ব্য উপলব্ধি আছে যার সেই তো জানে সুখ রয় কার! সুখের আপেক্ষিক তত্ত্ব কে বা বুঝে!
সুখ সুখ করে কেঁদে হয় হাহাকার, শুনেছি সুখ সয় না কপালে সবার!
অনুভব করে কেউ কেউ আত্মার।
অস্তিত্বে অক্ষুণ্ন রেখে যেতে পারছি না আগের মতো, ভুলে গেছি সব দিয়েছিলে যতো, পুড়ে হচ্ছে ক্ষত।
অনেকটা বদলে দিয়েছি নিজেকে ঠিক প্রকৃতির মতো। আজ থেকে বারোটি অধ্যায়ের ভিতরে
শুরু হয়েছে এই বদল, নেই কুয়াশা, নেই সূর্য, কি আর শীত বসন্ত,,,
গায় না গান পাখি ঘুম ভাঙাতে--- যদি বা এ'লড়াইয়ের সমাপ্তি ঘটে হয়তো হেরে যাবো আর তুমি যাবে জিতে।
ঢালের আঘাতে রক্তের স্রোতে অনাদিকালের হৃদয় ভাঙার গান শুনতে শুনতে রচিত হবে সমাধি।
দেবার মতো নেই তো কিছু, দীর্ঘশ্বাস ফেলে চাইবো না তবুও জীবনে মানে কি?
মহানন্দে বিমোহিত সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের সময়ে রাখা স্মৃতি গুলো নিয়ে শায়িত হবো চিরনিদ্রায়।।