লক্ষ্মীপুরে রায়পুর উপজেলার সায়েস্তানগর ও গাজীনগর গ্রাম সংলগ্ন ডাকাতিয়া নদীর উপর বাঁশের তৈরী সেতু দিয়ে ঝুঁকিনিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও ১৫ গ্রামবাসী।
অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই নরবরে সেতু দিয়ে শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের চলাচল করতে হয়। একাধিকবার উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে জানানো হলেও কোন কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী।
এলাকাবাসী জানান, এখানে একটি সেতু নির্মান করা হলে দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ থেকে পরিত্রান পাবে ছয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পনেরো গ্রাম বাসী। এই বাঁশের সেতু দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, কৃষক-রাখাল, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন চাকুরি জীবিরা চলাচল করে। সেতুর একপাড়ে গাজীনগর ও অন্য পাড়ে হল শায়েস্তানগর গ্রাম। প্রায় ২৫০ ফুট দীর্ঘ এই ঝুঁকিপুর্ণ বাঁশের সেতুটি পারাপার হতে গিয়ে বেশী সমস্যায় পড়তে হয় শিশু, রুগী ওবয়স্ক লোকদের এবং রাতের বেলা চলাচল কারা যায়না ।
অন্যদিকে স্কুল-মাদ্রাসায় যাতায়াতের সময় ছাত্র-ছাত্রীরা এই ঝুঁকিপুর্ণ বাঁশের সেতু দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হয় এবং অনেক ছাত্র-ছাত্রীর বই পানিতে পড়ে ভিজে যায়। ফলে অনেক অভিভাবক তাদের ছোট সন্তানদের স্কুল-মাদ্রাসায় পাঠাতে সাহস পান না।
একাধিক অভিভাবক জানান, স্কুল-মাদ্রাসাগুলো নদীর তীরবর্তী হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের বাঁশের সেতু পেরিয়ে স্কুল-মাদ্রাসা যেতে হয়। অন্যদিকে ঝুঁকিপুর্ণ বাঁশের সেতুটিতে যে কোন সময় বড়ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এদিকে স্কুল-মদ্রাসার শিক্ষকরা জানিয়েছেন, ঝুঁকিপুর্ণ বাঁশের সেতু দিয়ে ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা পারাপার হতে গিয়ে প্রায় সময় ছোট খাট দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে শিক্ষার্থীরা এই ঝুঁকিপুর্ণ সেতু দিয়ে পারাপার হওয়া প্রচন্ড সমস্যায় পড়তে হয়।
তাই এখানে একটি সেতু নির্মান করা হলে এলাকাবাসী ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী তাদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ থেকে পরিত্রান পাবে এবং এলাকার জীবন যাত্রার মান অনেকাংশে উন্নয়ন ঘটবে।