এখানে আপনার পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন দিন।

ঢাকা ২০ এপ্রিল ২০২৪ শনিবার

ব্রেকিং

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশর সকল জেলায় জেলা প্রতিনিধি, উপজেলা প্রতিনিধি, বিশেষ প্রতিনিধি ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি পদে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহী প্রার্থীগণ নিউজ সাইটের যোগাযোগ অংশে প্রদত্ত ঠিকানায় (ফোন, ইমেইল) যোগাযোগ করুন।

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২০, ১১:২৩

আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২০, ১১:২৩

২৮ ৬৬৬

শেয়ার:

খলিষখালীর ঐতিহাসিক শিব মন্দির

কালের সাক্ষী হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা থানার খলিষখালীর প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শিব মন্দির।

News

খলিষখালী ইত্তরপাড়া বাজারের পূর্ব পার্শ্বে শৈব বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থিত ব্যাক্তি মালিকানায় পরিচালিত এ শিব মন্দির। মন্দিরটি কত আগে নির্মিত হয়েছিল এ বিষয়ে খলিষখালী সার্বজনিন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কমল কুমার দাশের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ শিব মন্দিরটি পরদাদুর কাছে শুনে আসছি এটি প্রায় ৪৫০ বছর আগের স্থাপনা। কিন্তু সংষ্কারের অভাবে এ ঐতিহ্যবাহী শিব মন্দিরটি আজও অবহেলিত আছে। এ মন্দিরের ইতিহাস জেনে যত দুর জানা যায় ১৫৬৮ খ্রিষ্টাব্দের দিকে এ মন্দিরের স্থাপনা দর্পন নারায়ণ বসু প্রথম নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বর্তমানে দর্পন নারায়ণ বসুর শেষ বংশধর ননী গোপাল বসুর ২ পুত্র সুশান্ত কুমার বসু ও সলীল কুমারের স্ত্রী, কন্যা, পুত্ররা এটি দেখভাল করেন। অবকাঠামোর দিক দিয়ে মন্দিরটি ইট, সুরকি, বালু দ্বারা নির্মিত। এর দেয়ালের পুরুত্ব ৩০ ইঞ্চি, উচ্চতা ত্রিশুল সহ ৬০ ফুট। এ মন্দিরটি ইট, সুরকি, বালু দ্বারা নির্মিত। এ মন্দিরে দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশে ২টি কাঠের দরজা আছে, চারি পাশে উন্মুক্ত বারান্দা। মন্দিরের পশ্চিম পার্শ্বে নাট্য মন্ডপটি ইটের পিলারের পর টিন দিয়ে ছাওয়া। এটি বর্তমানে জ্বরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। এ শিব মন্দিরে সেই আমল থেকে পূজা প্রার্থনা প্রচলিত হয়ে আসছে। প্রতিদিনের পূজা সকাল ও সন্ধ্যায় পুরহিত দিয়ে সম্পাদক করা হয়।

এ শিব মন্দির ব্যক্তি মালিকানায় থাকলেও সার্বজনীন প্রার্থনা করা হয় এবং যে কোন ব্যক্তি পূজা দিতে পারেন এ শিব মন্দরে এতে কোন বিধি নিষেধ নেই। এখানে বাৎসরিক হিসাবে আষাঢ় মাসে রথ যাত্রা, ভাদ্র মাসে মনসা পূজা, চৈত্র মাসে ৫ দিন ব্যাপি শিব পূজা ও শিব রাত্রী উদযাপন করা হয়। এ মন্দিরের ভিতর শিব, নারায়ণ, কৃষ্ণ, ফাড় মূর্তি সহ আছে নানাবিধ উপকরন। জানা যায় এ শিব মন্দিরে একটি কষ্টি পাথরের শিব মন্দির ছিল যার ওজন ছিল প্রায় ৩ মণ। যার দাম ছিল প্রায় বর্তমান বাজার মূল্য হিসাবে ৩ কোটি টাকা। কিন্তু সে শিব মন্দিরটি আর নাই। কমল কুমার দাশ বলেন, মুর্তিটি ১৯৯০-৯২ সালের দিকে কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল। তবে বাৎসরিক দূর্গাপূজায় এ মন্দিরে জাকজমক ভাবে আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়। যেটা উপভোগ করতে দেশী-বিদেশী ভক্তরা এটা পরিদর্শনে আসে। তবে বর্তমানে যৎসামান্য রঙের কাজ করলেও এ ঐতিহসিক মন্দিরটি সংষ্কার ও সংরক্ষণের জন্য প্রত্মতত্ত্ব বিভাগ সহ যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানিয়েছে এলাকা বাসী।


মন্দির

মন্তব্য করুন-

বাংলাদেশর সকল জেলায় জেলা প্রতিনিধি, উপজেলা প্রতিনিধি, বিশেষ প্রতিনিধি ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি পদে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহী প্রার্থীগণ নিন্মোক্ত ঠিকানায় যোগাযোগ করুন।

নাম: আহসান হাবিব সোহেল
মোবাইল: ০১৭১২২৩১৩৯০
ইমেইল: doinikvoreraloi@gmail.com