সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা থানার খলিষখালী ইউনিয়নের কাশিয়াডাঙ্গা সরকারী প্রাইমারী স্কুল থেকে গোয়াল পোতা বাজার সংলগ্ন বিলের কাচা রাস্তাটি চলাচল করা একদম অযোগ্য।
অথচ এ রাস্তাটি সংস্কারের কোন পদেক্ষপ দেখা যাচ্ছে না দীর্ঘদিন ধরে। বিশেষ করে এ রাস্তা দিয়ে যেতে হয় মজুমদার আবাদ বিলে যে বিলে রয়েছে হাজার হাজার বিঘা বাগদা চিংড়ির মৎস্য ঘের। কয়েক কোটি টাকার বাগদা চিংড়ি এ বিল থেকে কেনা-বেচা হয়। এলাকাবাসী জানায়, এ রাস্তা দিয়ে দক্ষিণ এলাকায় যেতে হয় এছাড়া এ রাস্তা দিয়ে ঘের মালিকরা বেশির ভাগ চলাচল করে। বর্ষার মৌসুমে ঘের মালিক ও পথচারীরা পড়ে চরম বিপাকে। বর্ষার মৌসুমে হাজার হাজার মণ মাছ বাজারে বিক্রয়ের জন্য নিয়ে যেতে হয় কাঁধে করে। এতে যেমন নষ্ট হয় সময় তেমনি খরচো হয় অনেক। এই রাস্তাটি পিচের রাস্তা হওয়ার খুবই দরকার। রাস্তার এ বেহাল দশা থেকে মুক্তি পেতে সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কাশিয়াডাঙ্গা সরকালী প্রাইমারী থেকে গোয়ালপোতা বাজার সংলগ্ন বিলের রাস্তাটি কাচা থাকায় বর্ষার মৌসুমে পথচারীদের দুর্ভোগের সীমা নেই। সড়কটি দিয়ে ভ্যান, মহেন্দ্র, ইজিবাইক, নছিমন, করিমন, মটরসাইকেল সহ নানা যানবাহনে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ ও হাজার-হাজার পথচারীদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। অধিকাংশ জায়গায় খানা খন্দে ভরা। ভ্যান রিকসা তো দূরের কথা এ রাস্তাটি দিয়ে পায়ে হেটে চলাচল করা যাবে না। খলিষখালী ইউনিয়ন আ'লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরদার শরিফুল ইসলাম বলেন, বর্ষার মৌসুমে এ রাস্তাই এত কাদা হয় মনে হয় লাঙ্গল দিয়ে চাষ করা হয়েছে। এছাড়া রাস্তার ধার দিয়ে যে খাল গেছে সে খালের ভীতর অধিকাংশ রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। যার করাণে পথচারীদের পড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তিতে। বেশী সমস্যা হচ্ছে ঘের মালিকদের। এ রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংষ্কার না হওয়ার করাণে রাস্তাটি হয়ে উঠেছে মরনফাদ। রাস্তাটি পাকা করার খুবই দরকার। কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের ঘের ব্যবসায়ী রিপন মোল্লা জানান, আমার মজুমদার আবাদ বিলে একটি ৯ বিঘা ঘের আছে। বর্ষার মৌসুমে এলেই আমারা চিন্তায় পড়তে হয়। এ রাস্তা দিয়ে আমার হাটু কাদা ঠেলে ঘেরে যেতে হয় প্রায় ২ কি:মি: পথ হেটে। বর্ষার মৌসুমে এলেই মাছ বাজারে বিক্রয়ের জন্য নিয়ে যেতে হয় কাধে করে। প্রতি বছর এ বিলের মৎস্য ঘের থেকে কোটি কোটি টাকা বেচা-কেনা হয়। বড় একটি অংশ জায় সরকারী এ রাস্তাটি পাকা হওয়া খবই দরকার। এ বিষয়ে খলিষখালী ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোজাফফর রহমান বলেন, রাস্তাগুলো খারাপ আমি জানি। আশা করি যে রাস্তাগুলি কাঁচা ও খারাপ আছে আগামী সময়ের মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্যের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। এছাড়া দক্ষিণ এলাকার অনেক রাস্তা আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর ইটের রাস্তা পাকা করেছি। বর্তমানে যে রাস্তাগুলো কাঁচা আছে আমার নিজের উদ্যোগে ভাটা থেকে ইট এনে সংস্কারও করছি। আশা করি যে রাস্তাগুলি কাঁচা ও খারাপ আছে আগামীতে রাস্তাগুলো সংস্কার করা হবে ও পাকা রাস্তা হয়ে যাবে। আর বর্ষার মৌসুম চলে গেলে অনেক রাস্তা মেরামত হবে বলে তিনি জানান।