সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা থানার খলিষখালীর ইউনিয়নের চোমরখালীতে জলাবদ্ধতা নিরাসনে পাকা ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিজ অর্থায়নে করে দিচ্ছেন খলিষখালী ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোজাফফর রহমান।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খলিষখালি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড চোমরখালী গ্রামের কাদের মাস্টারের বাড়ি হইতে মেইন রাস্তার বটতলা পর্যন্ত ৩৭০ ফুট ও আ: রাজ্জাকের বাড়ি হতে আরশাদ আলির দোকান পর্যন্ত ২৭০ ফুট প্রায় ৫ লক্ষ্য টাকা ব্যয়ে পানি সরাবরাহের জন্য এ ড্রেনেজ পাকা করণের কার্যক্রমের কাজ অব্যাহত রয়েছে। ইতি মধ্যে ১৪০ ফুট পকা ড্রেনের কাজ শেষ হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, চোমরখালী গ্রামে বর্ষা মৌসুমে জমাট বাধা পানি সরবরাহের জন্য বাড়ি গুলোর স্হায়ী জলাবদ্ধতার হাত থেকে বাচিয়েছেন খলিষখালীর জন দরদী জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যান মোজাফফর রহমান। একটু বৃষ্টি হলেই বাড়ী ঘরে পানি উঠে যেত। এখন আমরা এ জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পাবো। এব্যাপারে আব্দুল মালেক মোড়ল বলেন, আমার বাড়ীর সামনে রাস্তাটি দিয়ে কোন পানি সরবরাহের ব্যবস্থা ছিল না। যার জন্য বর্ষার মৌসুম এলেই আমাদের উঠানে পানি উঠে যেত। এখন চেয়ারম্যান এ ড্রেনেজ ব্যবস্থা করায় আমরা জলাবদ্ধতার হাত থেক রক্ষা পাব। এজন্য চেয়ারম্যান মোজফফর রহমানকে আমি সাধুবাদ জানাই। মাষ্টার আব্দুল কাদের বলেন, এ ড্রেনেজ ব্যবস্থা করায় যেন শহর শহর লাগছে। আমরা অনেকদিন ধরে জলাবদ্ধতায় ভুগছি। এ রাস্তার পাশ দিয়ে একটা ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই দরাকার ছিল। প্রতি বছর পানি সরবরাহের পথ না থাকায় মারাত্মক জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এতে স্বাস্থ ঝুকির সম্ভাবনা থাকে। চেয়ারম্যানের এ মহতি উদ্যেগে আমরা সত্যি আনন্দিত। চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোজফফর রহমান এ বিষয়ে বলেন, এ মুহূর্তে সরকারী কোন অর্থ বরাদ্দ নেই এ জন্য এ কাজের জন্য নিজে থেকে এগিয়ে আসতে হল। একটু বৃষ্টি হলেই বাড়ি ঘরে পানি উঠছে। পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় জনভোগান্তি চরমে। মানুষের দুর্ভোগ কমাতে চোমরখালী গ্রামের দুটি রাস্তায় ৬৪০ ফুট পাকা ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। এছাড়া অধিকাংশ কাচা রাস্তাগুলো নিজ উদ্যেগে ভাটা থেকে ইট এনে রাস্তা সংষ্কার করেছি। যতদিন বেচে থাকব জনগণের সেবাই নিজেকে নিয়োজিত রাখব ইন শা আল্লাহ।