এখানে আপনার পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন দিন।

ঢাকা ১৬ এপ্রিল ২০২৪ মঙ্গলবার

ব্রেকিং

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশর সকল জেলায় জেলা প্রতিনিধি, উপজেলা প্রতিনিধি, বিশেষ প্রতিনিধি ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি পদে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহী প্রার্থীগণ নিউজ সাইটের যোগাযোগ অংশে প্রদত্ত ঠিকানায় (ফোন, ইমেইল) যোগাযোগ করুন।

নিজস্ব প্রতিবেদক::

প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২২, ১০:১৫

আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২২, ১০:৩৭

২৮ ৬৮৯

শেয়ার:

তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পাটকেলঘাটায় তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সন্ধ্যায় ৭টায় বাঙ্গালীর মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মদিন উৎযাপনে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়েছে।

News

বৃহস্পতিবার  (১৭ই মার্চ)  কেক কাটা ও আলোচনা সভায় তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি ও সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বিশ্বাস আতিয়ার রহমানের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য  রাখেন সাতক্ষীরা-১ গনমানুষের নেতা,  শহীদ পরিবারের সন্তান তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেতা শেখ নুরুল ইসলাম। এসময় বক্তব্য রাখেন  ইসলামকাটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শেখ আব্দু আজিজ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মাহফুজুর রহমান,সেলিম রেজা, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুর রব পলাশ, উপজেলা তাতীলীগের  সভাপতি কামরুজ্জামান রিকু,তালা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক গৌতম কর্মকার, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মামুন প্রমুখ।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন,
আজ ১৭ই মার্চ ১৯২০সালের এই দি‌নে রাত ৮টার দিকে মা সায়েরা খাতুনের কোল আলোকিত করে আসেন ইতিহাসের মহানায়ক; বাঙালি ও বাংলাদেশের মহান মু‌ক্তিদাতা মহান পুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ জাতি আনন্দ-‌বেদনায় উদযাপন কর‌ছে বাংলার অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্থপ‌তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্ম‌দিন ।

‘ইতিহাসের মহানায়ক’ হওয়ার মতো যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষ সবকালে, সব যুগে জন্ম গ্রহণ ক‌রেন না । যুগ-যুগান্তরের পরিক্রমায় হাতে গোনা দু্-একজন মানুষই শুধু ‘ইতিহাসের মহানায়ক’ হয়ে উঠতে পারেন । ইতিহাস তার আপন তাগিদেই সৃ‌ষ্টি ক‌রে মহানায়কের । আর সেই ‘মহানায়ক’ই হয়ে ওঠেন তাঁর কা‌লের প্রধান কারিগর ও স্থপতি । বঙ্গবন্ধু ছিলেন তেমনই একজন কালজয়ী মহাপুরুষ । যিনি একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং জাতিকে সপ্ন দেখিয়েছিলেন । আবার সেই স্ব‌প্নের ‘স্বাধীন বাংলাদেশ‘ প্রতিষ্ঠাও করেছিলেন ।

১৯৯৭ সাল থেকে তাঁর জন্মদিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে । ১৯৩৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলাএ কে ফজলুল হক এবং শ্রমমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সামনে সাহসী উপস্থাপনায় সহপাঠী ও বিদ্যালয়ের ন্যায্য দাবি আদায়ে নেতৃত্ব দি‌য়ে যি‌নি কি‌শোর ছাত্রনেতা হিসেবে আবির্ভূত হলেন । ১৯৪৩ সালে বাংলার দুর্ভিক্ষে অজস্র সহায়হীন  মানুষেরপ্রাণ বাঁচা‌ন তিনি । ১৯৪৬ এর দাঙ্গা প্রতিরোধে অগ্রণী যে কণ্ঠস্বর, ১৯৪৮ ও ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে আজ পর্যন্ত বাংলার প্রতিটি মানুষের প্রতিটি মুখের বুলিতে নতুন করে জন্ম নিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু । ১৯৫৪ থেকে ১৯৬৩ অবহেলিত বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের একুশ দফায় থেকে স্বাধীনতার সূর্য হয়ে তিনি জন্মেছেন । ‘৫৮, '৬৬, '৬৯, '৭০, '৭১ এই যে ধারাবা‌হিক সংগ্রা‌মের ইতিহাসে বাংলার মানুষের স্বাধীনতা-স্বাধিকারে বেঁচে থাকার প্রতিদি‌নের অনুপ্রেরণা হ‌য়ে মিশে আছেন তিনি । ১৯৭১সালে পাকিস্তানি জান্তার ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা বাংলাকে '৭২থেকে '৭৫ এর প্রতিটি দিনের পরিশ্রমে নতুন জীবন দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু । এটা সত্যি যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০সালের ১৭ মার্চ ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন কিন্তু সেইদিনের পর থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিটি দিনে তিনি জন্মেছেন । তিনি প্রতিদিন জন্ম নেন সকল শুভ চিন্তায় ও কর্মে । বোধ শক্তি হওয়ার পর এমন কোনো দিন ছিল না যে তিনি বাঙালির জন্য আত্মনিবেদন ও আত্মত্যাগ করেননি । বাংলার মানুষের হাসি- আনন্দে প্রত্যেকদিন জন্ম হয় তাঁর ।

স্বাধীনতার দাবিতে উত্তাল ১৯৭১ সালের সেই দিনগুলো । ৭ইমার্চে ঐতিহাসিক ভাষণ দিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ।অসহযোগ আন্দোলন চলমান । ১৯৭১-এর ১৭ই মার্চ ছিল বঙ্গবন্ধুর ৫২তম জন্মদিন । ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে আলোচনা শেষে দুপুরে ধানমন্ডির বাসভবনে সাংবাদিকরা তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছিল । তাঁর কণ্ঠ বেদনার্ত হয় একপর্যায়ে ।তিনি বলেন, "আমি জন্মদিন পালন করি না । আমার জন্মদিনে মোমের বাতি জ্বালি না, কেকও কাটি না । এদেশে মানুষের নিরাপত্তা নাই । আপনারা আমাদের জনগণের অবস্থা জানেন ।অন্যের খেয়ালে যে-কোনো মুহূর্তে তাদের মৃত্যু হতে পারে । আমি জনগণেরই একজন, আমার জন্মদিনই কি, আর মৃত্যুদিনই কি?আমার জনগণের জন্য আমার জীবন ও মৃত্যু ।" 

নিজের জন্মদিন নিয়ে কোনোদিন আলাদা করে ভাবার কোনো প্রয়োজন মনে করেননি তিনি । জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তাঁর মনেএক ভাবনা, মানবতার কল্যাণ কামনা । তাঁর জন্মদিনে তাঁর কাছ থে‌কে মানবতার সেবা ও জয়গান আমাদের প্রাপ্তি । শৈশবে রাস্তার পাশে শীতে কাতর হওয়া বৃদ্ধের গায়ে  নিজের চাদর জড়িয়ে দিয়ে, দুর্দশা পীড়িত মানুষের মনে সাহস যোগাতেন তিনি। ১৯৩৭ সালে  মুষ্টিভিক্ষা করে 'মুসলিম সেবা সমিতি'র মাধ্যমে গ‌রিব ছাত্র-ছাত্রী‌দের পা‌শে দাঁড়ান তিনি । জন্মদিনে এক সাংবাদিক বঙ্গবন্ধুকে প্রশ্ন করেন, "আপনার ৫২তম জন্মদিনে আপনার সবচাইতে বড়ো ও পবিত্র কামনা কী? উত্তরে বঞ্চিত বাঙালির অবিসংবাদিত নেতার দ্বিধাহীন উত্তর, "জনগণের সার্বিক মুক্তি ।" তাহলে দাঁড়ায় এই, প্রতিটি মুক্তির আকাঙ্ক্ষায়, মুক্তির প্রতিটি নিঃশ্বাসে জন্মে থাকেন জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ।

মহত্ত্বের নিখুঁত প্রতিমূর্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । নিজের সবকিছুই জনগণের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন । নিজের জন্যকিছুই চাইতেন না । অপরের দুঃখ-কষ্ট তাঁকে সর্বদাই আবেগাপ্লুত করত । এক জনসভায় বক্তৃতা কালে তিনি বলেছিলেন, "একজন মানুষ আর কী চাইতে পারে- আমি যখন ভাবি দূরে এক জনশূন্য পথের ধারে আলো-ছায়ায় এক লোক লণ্ঠন হাতে দাঁড়িয়ে আছেশুধু আমাকে একনজর দেখবে বলে, তখন মনে হয়, একজনমানুষের পক্ষে আর কী চাওয়া-পাওয়ার থাকতে পারে ।" অবহেলিত, বঞ্চিত, নিগৃহীত, অত্যাচারিত প্রতিটি মানুষের প্রতিবঙ্গবন্ধুর ছিল প্রগাঢ় ভালোবাসা । সেটি প্রতিফলিত হয়েছে, তাঁর প্রতিটি কর্মে এবং চিন্তায়।

তিনি শুধুই যে বাঙালির জন্য ভাবতেন তা নয় । তার চিন্তা-চেতনা-বোধ ছিল বিশ্বজনীন । ইনিই তো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হয়েও সরকারি বাসভবনে থাকতেন না । খুব সাধারণ ৩২ নম্বরের বাড়িটিতেই আমৃত্যু থেকেছেন । ধানমন্ডিতে যখন প্লট বরাদ্দ দেয়া হয় তখন ভালো একটি প্লট নেয়ার জন্য সবার শত অনুরোধ সত্ত্বেও বলেছিলেন, "আগে সবাইকে দাও, তারপর যদি থাকে তখন দেখা যাবে ।" আবার বঙ্গবন্ধুই  ১৯৭৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর, আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে বক্তৃতায় বলেছিলেন, "বিশ্ব আজ দু'ভাগে বিভক্ত শোষক আর শোষিত; আমি শোষিতের পক্ষে ।" 

বঙ্গবন্ধু এমন বিশাল হৃদয়ের মানুষ ছিলেন যার হৃদয়তলে আমরা দাঁড়াতে পারি, কিন্তু সমকক্ষ হতে পারি না কেউ ।ইতিহাসে অনেক নন্দিত নেতার নাম আছে, কেউ কি আছেন মানব কল্যাণে এত বিস্তৃতভাবে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন । খুঁজেদেখুন একজনও পাবেন না । জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুররহমানই অমর অবিসংবাদিত সেই সংগ্রামী নেতা।।


জন্মদিন

মন্তব্য করুন-

বাংলাদেশর সকল জেলায় জেলা প্রতিনিধি, উপজেলা প্রতিনিধি, বিশেষ প্রতিনিধি ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি পদে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহী প্রার্থীগণ নিন্মোক্ত ঠিকানায় যোগাযোগ করুন।

নাম: আহসান হাবিব সোহেল
মোবাইল: ০১৭১২২৩১৩৯০
ইমেইল: doinikvoreraloi@gmail.com