সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটার ধরম আত্বীয়তার সুবাদে বেরিয়ে এসেছে ভুয়া ঠিকানা ও জালিয়াতি করে সি এম এস পদে চাকুরি নেওয়ার গোপন তথ্য। একই ব্যাক্তির ২ টি পরিচয়ে সরকারী চাকুরি এবং বসবাস করে যাচ্ছে।
সরেজমিনে জানা যায় রাজকুমার দাশ, পিতা: মৃত রতন দাশ, মাতা: ঘেনি দাশী, গ্রাম: বুড়িহাটি, পোষ্ট, হাসানপুর, উপজেলা :কেশবপুর, জেলা: যশোর। তার মৌজা বুড়িহাটি খতিয়ান নং ৬৮৭, জে এল নং ৩২। নিজ জন্মস্থান গোপন রেখে বর্তমানে চাকুরিতে দায়িত্ব পালন করছে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার মালতিয়া গ্রামে নিজ নাম মহাদেব কুমার দাশ পিতা:কেষ্ট পদ দাশ, মাতা: বিজলী রানী দাশ তার জন্ম তারিখ :১৯৮৮-০৮ -১৪ সন ,তার নিজের পরিচয় পত্র নং- ৬০০০২৬৬৯৩৯ ভুয়া এই ঠিকানা দিয়ে সে দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে যশোরে সি এম এস পদে সরকারী দপ্তরে কিভাবে চাকুরী করে যাচ্ছে এটা সরকারের কোন নীতি মালায় আছে এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের? কে রাজকুমার কে মহাদেব?
তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, রাজ কুমার ডুমুরিয়ার মালতিয়া গ্রামের প্রকৃত মহাদেবের সাথে ধরম আত্মীয়তার সম্পর্ক গোড়ে তোলে। এ ধরম আত্মীয়তার গোড়ে তোলার সময় সে জানতে পারে খুলনা জেলায় একটি সরকারী স্বাস্থ বিভাগে সিএমএস পদে চাকুরির নিয়োগ দেছে। কিন্তু সে চাকুরির নিয়োগে যশোর জেলার কোটা না থাকায় সে তখন খুলনা জেলার ডুমুরিয়ার উপজেলার মহাদেব দাশের নামে সমুদয় কাগজপত্র চাকুরির আবেদনে সাবমিট করে। এই ঠিকানাই সে চাকুরিতে নিয়োগ পেয়ে বর্তমানে মাহাদেব দাশ নামে সরাকারী চাকুরিতে রয়েছে।
আরো জানা যায়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, রাজকুমারের বাড়ি কেশবপুরের উপজেলা বুড়িহাটি, যশোরে স¦াস্থ বিভাগে চাকুরী সূত্রে জমি ক্রয় করে যশোরে চুড়ামন কাটিতে বসবাস করে আসছে।
যশোর পল্লী বিদ্যূৎ সমিতি -১ এর অধিনে রাজকুমার নামে একটি বিদ্যূতের মিটার নিয়েছেন । বই নং-৪৩৩, হিসাব নং-৪৬৮৩,মি:নং-৮৮১৫১২০১৩৬০৭। বিদ্যূতের মিটারে তার প্রকৃত নাম রাজকুমার দাশ, পিতা মৃত রতন দাশ নাম উল্লেখ করেছে। তথ্যানুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে রাজকুমার তার মেয়ে ভাবনা দাশকে ২৬-১২-২০১৬ তারিখে সনাতন ধর্ম অনুযায়ী রেজিঃ বিয়ে দিয়েছে। রেজিস্ট্রি কাবিনে পিতা হিসেবে রাজকুমার তার নাম গোপন রেখে মহাদেব দাশ পিতার নাম উল্লেখ করেছে।
পাটকেলঘাটার বলাই দাশের ছেলে নীল কমলের সাথে দীর্ঘদিন ধরম আত্মীয়তার সুবাতে এ তথ্যগুলো বেরিয়ে আসতে শুরু হয়। এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে যোগাযোগ করলে বলেন, তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানান।
এ ব্যাপারে রাজকুমারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি সব ঠিক করে নিয়েছি। আমি বর্তমানে চুড়ামন কাঠিতে বসবাস করছি। আপনাদের এ ব্যাপারে মাথা ঘামানোর দরকার নেই বলে।