ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামক লঞ্চের ইঞ্জিন থেকে অগ্নিকাণ্ডে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেখান থেকে ৩৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, নিখোঁজ প্রায় ১০০জন।
তবে এ ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ। তবে পা ভেঙে গেছে তার স্ত্রী উম্মুল ওয়ারার।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে লঞ্চটিতে আগুন লাগে বলে যাত্রীরা জানিয়েছেন। ইউএনও দম্পতি ওই লঞ্চের ভিআইপি কেবিনের নীলগিরির যাত্রী ছিলেন। লঞ্চ থেকে উদ্ধার করার পর তাদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ জানিয়েছেন, ‘রাত তিনটার দিকে হঠাৎ করে লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় আমাদের ভিআইপি কেবিনসহ আশপাশ এলাকায় ধোঁয়ায় নাক বন্ধ হয়ে আসে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মানুষের চিৎকারে এক বীভৎস অবস্থা তৈরি হয়। এ সময় স্ত্রী উম্মুল আরাকে নিয়ে কত দ্রুত ও কীভাবে যে লঞ্চের সামনের দিকে নেমে এসেছি, তা বলে বোঝাতে পারব না। এরই মধ্যে ঝালকাঠির দিয়াকুল গ্রামে নদীর তীরে লঞ্চটি ভেড়ানো হলে আমরা দ্রুত নেমে পড়ি। এ সময় কয়েক শ মানুষ লঞ্চ থেকে নামতে পারলেও বেশির ভাগ মানুষ লঞ্চে আটকা পড়ে যায়। অনেককে দেখা গেছে, নিজের প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন। প্রচণ্ড শীতের রাতে তাঁরা নদী সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন কি না, তা স্বজনেরাও বলতে পারছেন না।’
হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ ও তার স্ত্রী এখন সুস্থ আছেন বলেও জানান তবে তার স্ত্রীর পা ভেঙে গেছে। তবে সেও সুস্থ আছে।