কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার ৭ নং গোপগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে যুব সমাজের অহংকার ও গরীব দুঃখী মানুষের আস্থার প্রতীক আবুল কালাম । তিনি আগামী গোপগ্রাম ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে চান।
আবুল কালাম নিজ এলাকা তথা গোপগ্রাম ইউনিয়নের শিক্ষা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছেন। বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি। অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের আর্থিক সাহায্য ও খাতা কলম শিক্ষা সামগ্রী প্রদান সহ ছাত্র, ছাত্রীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে চলেছেন। মাদকের হাত থেকে যুবক ও যুবতীদের রক্ষার জন্য খেলাধুলার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করার পরামর্শ প্রদান করে আসছেন এবং তিনি নিজেও অংশগ্রহণ করছেন। দরিদ্র মানুষকে খাদ্য প্রদান এবং করোনা মহামারীর সময় প্রায় ১০০০ পরিবারকে খাদ্য, ইফতার, ঈদ সামগ্রী ও আর্থিক সাহায্য করেছেন প্রতিনিয়ত।
উল্লেখ্য, তিনি শন্তেসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও মহেন্দ্রপুর ঈদগাহ গোরস্থানের সহ-সভাপতি। তিনি খোকসা উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও গোকগ্রাম ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এলাকার বিভিন্ন বয়সের মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দক্ষ সংগঠক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারনে তারা এবার একজন সৎ, সাহসী,ত্যাগী নেতা আবুল কালামকে ভোট দিতে চান। ইতিমধ্যে ইউনিয়নের যুবসমাজ, ছাত্রসমাজ সহ সাধারণ জনগণ এবার দক্ষ সংগঠক আবুল কালামের পক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করতে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু যুব সমাজ নয়, ছাত্র শিক্ষক, শ্রমিক জনতা, বৃদ্ধবণিতাসহ সকল শ্রেনী-পেশার মানুষ এবারের গোকগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়।
নির্বাচন প্রসঙ্গে আবুল কালাম বলেন, আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী। আমি আ'লীগের একজন ত্যাগী নেতা। আমি খোকসা উপজেলা আওয়ামীলীগের একজন সদস্য ও ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক। আমি আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন নৌকা পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সারাদেশের মধ্যে উন্নয়নের রোল মডেল হবে গোপগ্রাম ইউনিয়ন। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সম্পন্ন ডিজিটাল ইউনিয়ন গঠনসহ সকল কর্মকান্ডে জনগনের অংশগ্রহণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা আমার লক্ষ্য। সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার। দল আমাকে নৌকা প্রতীক দিলে অবশ্যই আমি গোপগ্রাম ইউনিয়নে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবো। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে অত্র ইউনিয়নে উন্নয়নের নব দিগন্ত সৃষ্টি হবে বলে প্রত্যাশা করছেন ইউনিয়নের বিভিন্নস্তরের মানুষ। সেইসাথে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার সহযোগী হতে চাই। দল আমাকে নৌকা প্রতীক দিলে ইনশাআল্লাহ আমি অবশ্যই নির্বাচন করবো এবং বিজয়ী হবো। আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি নৌকার মাঝি হতে চাই।