সোমবার (১৮ অক্টোবর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্মদিন। ১৯৬৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি-বিজড়িত ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরে ‘বঙ্গবন্ধু ভবনে’ শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করেন।
বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা তাকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, তাদের সেই অপচেষ্টা শতভাগ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের কাছে ভালোবাসার নাম। অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকার বঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ-লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্তায় পরিণত হয়েছেন। মানবিক চেতনাসম্পন্ন সব মানুষ শেখ রাসেলের মর্মান্তিক বিয়োগ বেদনাকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর তরুণের মুখে হাসি ফোটাতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সোমবার (১৮ অক্টোবর ২০২১খ্রি.) ‘শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’- এ প্রতিপাদ্য নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাজশাহী বিভাগীয় কার্যলয় কর্তৃক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের এর আয়োজন করা হয়।এতে উপস্থিত ছিলেন জনাব,মোহাম্মদ জালাল আহমদ, পরিচালক ইসলামি ফাউন্ডেশন বিভাগীয় কার্যলয়,রাজশাহী, জনাব,একে এম মুজাহিদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক, ইসলামি ফাউন্ডেশন রাজশাহী বিভাগীয় কার্যলয়,জনাব,সৈয়দ মোহাম্মদ হুমায়ন কবির ফিল্ড অফিসার, এছাড়াও অফিসের অন্যন্য কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ।বক্তারা প্রত্যেকেই শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকীতে তার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগ আপ্লূত হয়ে পড়ে। ইফার বিভাগীয় পরিচালক জনাব, মোহাম্মদ জালাল আহমদ তার আলোচনায় শেখ রাসেলের বিভিন্ন স্মৃতি উপস্থিত সকলের সামনে তুলে ধরেন।তিনি আরও বলেন শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহী বিভাগীয় কার্যলয় ইফার পক্ষ থেকে সকল মসজিদে মসজিদে জোহর নামাজের পর দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনার জন্য মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিবদের বিশেষ ভাবে বলা হয়েছে।আলোচনা শেষে তিনি সকলকে নিয়ে শেখ রাসেল ও তার পরিবারের সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন।মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মোহাম্মদ মোস্তাক আহমদ।