বরিশালের কাজিরহাট বিয়া কইরা আমার জীবনটাই তছনছ।আমার সংসার গেল,স্ত্রী গেল টাকা-পয়সা সবই গেল। কথাগুলো বলছিলেন ঢাকা কেরানীগঞ্জের মো. হোসেন আলী।
মো. হোসেন আলী জানান, ২০১৬ সালে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজীরহাট থানাধীন চরমাধবরায় ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলতাফ মোল্লার মেয়ে আসমা আকতার শিলাকে বিয়ে করেন। এর পরপরই তিনি জীবন জীবীকার তাগিদে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান।
ইনকামও হচ্ছিল বেশ। সংসার চলছিল সুখে শান্তিতে। এরই ফাঁকে মোঃ আলী হোসেনের সরলতার সুযোগ নিয়ে,মেয়ের মা আমেনা বেগম পরিবারের সমস্যা দেখিয়ে মেয়ের জামাই আলী হোসনের কাছে টাকা চায়। নিজের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে,স্ত্রী ও শশুর বাড়ীর মানুষকে সুখে রাখতে বিকাশ এবং ব্যাংক একাউন্ট মাধ্যমে ১৩,৮৫,০০০/-(তের লক্ষ পঁচাশি হাজার) টাকা দেই। যাহার বিকাশ নাম্বার ০১৬২১৯৬৬২৫২ এবং ব্যাংক হিসাব নং- ০৩৩৯২০১০০০৪৮।
এছাড়াও শাশুড়ির কথায় কাজীরহাট তাদের বাড়িতে চাররুমের একটি ঘর ও দোকান করে দেই। সব মিলিয়ে ওদের পেছনে আমার প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ হয়।
মো. হোসেন আলী বলেন,আমি বিদেশ থাকা অবস্থায় আমার স্ত্রী শিলা,একই গ্রামের প্রতিবেশী সেকুল হাওলাদারের পুত্র আরিফ হাওলাদারের সঙ্গে অনৈতিক পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়েছে বলে জানতে পারি। পরকিয়ার বিষয়টি জানতে পেরে আমার শাশুড়ী আমেনা বেগমকে জানাই এবং আমার স্ত্রীকে সাবধান করি। তবে আমার স্ত্রী বিষয়টি অস্বীকার করে। এমনকি এমন জগন্য কাজ হবে না মর্মে আমাকে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেন।
গত তিনমাস আগে আমি দেশে ফিরে আসি। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস,গত ৩ অক্টোবর আমার স্ত্রী শিলা সকল অলংকার,নগদ টাকাসহ জিনিসপত্র নিয়ে,আমাকে সর্বশান্ত করে পালিয়ে যায় তার পরকীয়া প্রেমিক আরিফের সঙ্গে।
তিনি আরও বলেন,ঘটনা ঘটার পরে আমার স্ত্রী এবং শশুর বাড়ীর লোকজনের সাথে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করি। কোন সমাধান না পেয়ে পর আমি দিশা না পেয়ে এলাকার
বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার বিদ্যাননন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. ইকবাল কবির আজম এর সরান পন্ন হই এবং জোর অনুরোধ করি,যেন বিষয়টি মিমাংসা করে আমার স্ত্রীকে ফিরিয়ে দেন। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করলেন যে শালিষে আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে আমার স্ত্রীকে ফিরিয়ে দিবেন কিন্তু তিনি তা করেননি।
পরে জানতে পারি আমার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক আরিফ হাওলাদার এর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা খেয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় মেডিসিন সেলস রিপ্রেজেনটেটিভ মোঃ শামীম হোসেন ফেসবুকে লেখালেখি করলে,আজম মেম্বারের ছেলে মোঃ আকরাম হোসেন,ফেসবুকে লেখালেখির দায়ে শামীমকে মারধর করে।
অবশেষে কোন উপায় না পেয়ে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছি,কোন সুরাহা না হলে শিলা,তার মা,বাবাসহ প্রতারণার দায়ে মেম্বার আজমের নামে মামলা করবো।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে চরমাধবরায় ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. ইকবাল কবির আজম দৈনিক ভোরের আলো কে বলেন, ঘটনাটি ঘিরে স্থানীয় কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ছেলেটি আমাকে অনেকবার ফোন দিয়েছে,আমি তাকে বলেছি স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে যাও,এখানে তো আমার করার কিছু নেই।