ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাতৈর গ্রামের মধ্যপাড়ায় ৩৫ বছর বয়াসী কাঁচা রাস্তায় ধানের চারা রোপন করে প্রতিবাদ জানালেন এলাকাবাসি। রবিবার (২৫ জুলাই) সকালে এ কাঁচা রাস্তায় ধানের চারা রোপন করেন ভুক্তভোগি এলাকাবাসি।
জানা যায়, সাতৈর গ্রামের মধ্যপাড়া দিয়ে ২ কিলোমিটার একটি কাঁচা রাস্তা ৩৫ বছর আগে বয়ে গেছে সাতৈর মাঠে। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ৩-৪ শত লোকের যাতাযাত। মাঠের ৭-৮ শত পাখির জমির ফসল এই রাস্তা দিয়ে ভ্যান-নছিমন বুজাই করে বাড়িতে আনে কৃষকরা। বৃষ্টির কারণে রাস্তা দিয়ে কৃষক ও পথচারাীরা পায়ে হেটে যেতে পারে না। বৃষ্টি হলেই কাঁদা পানি বেধে রাস্তাটি চলাচলের
অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। প্রতিনিয়ত সকলকে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। শুকনার সময়ও রাস্তায় খানা খন্দে ভোগান্তি পোয়াতে হয় ওই এলাকার মানুষদের। রাস্তারটির বয়স ৩৫ বছরপার হলেও একখানা ইটের ভাগ্য জুটেনি রাস্তারটির।
সাতৈর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলিম হোসেন বলেন, এই রাস্তাটির বয়াস ৩৫ বছর। অথচ পাকা তো দুরের কথা একখানা ইটও আজ পর্যন্ত কেউ
বসায়নি। এই এলাকার মানুষ মাঠের সকল ফসল এই রাস্তা দিয়ে বাড়িতে আনে।বৃষ্টির কারণে কৃষক ও পথচারীদের কষ্টের সিমা নেই। ইট ও পাকার জন্য অনেক জায়গায় ধরর্না ধরেছি। কেউ ফিরেও তাকাইনি রাস্তার দিকে। তাই এলাকাবাসি রাস্তায় ধানের চারা রোপন করে প্রতিবাদ জানান।
সাতৈর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মুজিবর রহমান বলেন, আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে রাস্তাটি পাকা করণের অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। এই ২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার কারণে ওই এলাকার মানুষের কষ্টের সিমা নেই।তিনি আরো বলেন, আমার পরিষদ থেকে ৪-৫ শ’ মিটার সর্বচ্চ ইটের রাস্তা দিতে পারি। আর ৪ থেকে ৫শ’ মিটার ইটের রাস্তা দিয়ে তো কোন লাভ হবে না। তাই রাস্তাটি অবহেলিত ভাবে পড়ে রয়েছে।