দেশজুড়ে লকডাউন। করোনা সংক্রমণের ঢেউ আঘাত করছে দেশের সর্বত্র স্থানে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মতে মানুষকে ঘরে রেখে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের লকডাউন অধ্যাদেশ। পুলিশ একা এই করোনা মহাযুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। লকডাউন কার্যকর করার প্রাণপর চেষ্টা চালাচ্ছেন।
লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জের বিশাল জনগোষ্ঠীকে সচেতন করা, লকডাউন কার্যকর করা একা পুলিশের পক্ষে কতটুকু সম্ভব? সরকারী দলের নেতাকর্মীদের মাঠে থেকে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে সহ যোগিতা করার কথা থাকলেও সবাই যেন নীরব দর্শকের মত ঘরে বসে আছে। “কার খবর কেইবা রাখে” এমনি অবস্থা।
কঠিন পরিস্থিতিতে কোথাও কেউ নেই। পুলিশ যেন এই লকডাউনে একা নিঃসঙ্গ দিনপার করছে। নেই স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি কিংবা দলের কেউ। কোন যুব-ছাত্র সংগঠন প্রতিনিধি।ক্রান্তিকালে জাতি উদ্ধারের সকল দায় যেন পুলিশের একার।
“সংকটপূর্ণ সময়ে নিজের অবস্থার আলোকে দরিদ্র জনগণের পাশে দাড়ানো জনপ্রতিনিধিদের নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু এটা হচ্ছে না। নির্বাচন আসলেই তাদের দেখা যায়। দরিদ্র মানুষকে নিয়ে তারা ভোটের রাজনীতি করেন। ভোট শেষে আর সাধারণ জনগনের খবর যেসব নেতা রাখেন না তাদের রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার নেই। রাজনীতি করলে এই সংকটনময় সময়ে এখনই তাদের পাশে দাড়ানো উচিৎ।”
মানুষকে সচেতন করার, মানুষের পাশে থাকার কিংবা স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতার করার কেউ নেই। ভোটের রাজনীতিতে সবাই ব্যস্ত।
এমনিতে স্বাভাবিক সময়ে নেতাদের ভীড়ে ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মী খুঁজতে শক্তিশালী অণুবীক্ষণযন্ত্রের সাহায্য নিতে হয়। হুমড়ি খেয়ে পড়া পাতিনেতা এবং বনেদি নেতারা আজ কোথায়? প্রশাসনের পাশে থেকে জনগনকে সচেতন করে তুলুন। মাস্ক পড়ুন, অপ্রয়োজনীয় সময়ে বাহিরে ঘুরাফেরা থেকে বিরত থাকুন ও নিজে বাচুঁন,অপরজনকেও বাঁচান সরেজমিনে এসে এসব বিষয়াদি নিয়ে জনতাকে সচেতন করুন। তাতেই আপনি হবেন দু:সময়ের ত্যাগী নেতা।
দু:সময়ে জনতার কাতারে অবস্থান করুন, জনগন আপনার পাশে অবস্থান করবেই। নিজেকে নেতা বলে মুখে ফেনা তুলে লাভ কি, যদি জনগনের কাজে না আসেন। লকডাউনের রামগঞ্জে নেই কোন নেতাকর্মী পুলিশের পাশে। লকডাউন কার্যকরে তারা নির বিচ্ছিন্ন মাঠে অবস্থান করছেন। করোনা ভাইরাস থেকে জনগনকে রক্ষা করতে। তারাও ত মানুষ। তাদের পাশে থাকার মত কেউ কি নেই ?